কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা | ও নিজে তৈরীর সহজ পদ্ধতি


কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা জানার আগে জানতে হবে কিসমিস কি ? ‍কিসমিস হলো একটি শুকনো ফল, যা মূলত আঙ্গুরকে শুকিয়ে তৈরি করা হয়। কিসমিসকে ডাক্তারগণ (Dry Fruit) বা শুকনো ফল বলে নাম করণ করে থাকেন। ইংরেজিতে একে বলা হয় Raisins, আর বৈজ্ঞানিক ভাষায় একে বলা হয় Vitis vinifera, কিসমিসে থাকে প্রচুর পুষ্টিগুণ।

সাধারণত কিসমিস দিয়ে সেমাই, পায়েস ইত্যাদি আরো অনেক কিছু তৈরি করা হয়। কিন্তু আপনি জানেন কি! এই ছোট্ট ফলটির ভেতরে কি পরিমাণ পুষ্টিগুণ লুকিয়ে আছে? আসুন জেনে নিই !

সূচিপত্রঃ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা


কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

  • কিসমিসে থাকা ফাইবার সহজেই পানি শোষণ করে এবং হজমতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।
  • অ্যাসিডিটি দূর করে।
  • এতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম পেটের অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

  • শরীরে টক্সিন জমতে দেয় না।

  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।
  • রক্তস্বল্পতা দূর করে।
  • কিসমিসে থাকা আয়রন ও ভিটামিন B কমপ্লেক্স হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • রক্তচাপ ও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • নিয়মিত কিসমিস খেলে ব্লাড প্রেসার ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • হাড় মজবুত করে, এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করে।

সহজে কিসমিস নিজে তৈরি করার উপায় ?


কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে তো জানলেন এখন সেটা নিজে কিভাবে তৈরী করবেন সেটা নিয়ে এবার আলোচনা করা যাক !
  1. প্রথমে পাকা আঙ্গুর সংগ্রহ করতে হবে।
  2. এরপর সেই আঙ্গুর রোদে শুকাতে হবে।
  3. যথন আঙ্গুরের ভেতরের পানি শুকিয়ে বাইরের অংশ কুঁচকে যাবে। তখন বুঝতে হবে যে কিসমিস তৈরী হয়ে গেছে।

কিসমিস খাওয়ার সঠিক সময়

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা পেতে হলে তা সঠিক সময়ে খাওয়াও জরুরী, যদিও কিসমিস খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই, যে কোনো সময় খাওয়া যেতে পারে, তবে
বিশেষজ্ঞগণ বলে থাকেন — 

রাতে ১০–১২টি কিসমিস এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে কিসমিস ও সেই পানি খেলে শরীরের জন্য বেশি উপকার পাওয়া যায়।


কিসমিস খাওয়ার পরিমাণ

যারা এটি নিয়মিত ওষুধ হিসেবে খেতে চান, তারা প্রতিদিন ১০–১২টি কিসমিস খেলেই যথেষ্ট।


কিসমিসে কী কী পুষ্টি উপাদান থাকে ?

কিসমিসে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর উপাদান, যেমনঃ

  • ক্যালোরি 
  • ফাইবার 
  • পটাশিয়াম 
  • ম্যাগনেসিয়াম 
  • ভিটামিন C 
  • ভিটামিন K 
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট 
  • আয়রন

ইত্যাদি আরো অনেক উপদান

      সতর্কতা

      কিসমিস খাওয়ার উপকারিতার কথা ভেবে আবার নিজের ক্ষতি করতে যাচ্ছেন না তো? যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান বা ডায়াবেটিস কন্ট্রল করতে চান, তাদের জন্য চিকিৎসকগণ কিসমিস সীমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সুতরাং তারা যদি কিসমিস থেকে একটু দুরে থাকেন তাহলে সেটাই তাদের জন্য ভালো হবে।

      কারণ এতে উচ্চমাত্রায় ক্যালরি ও প্রাকৃতিক চিনি (কার্বোহাইড্রেট) থাকে, যা আপনার শরীরে ওজন এবং ডায়বেটিস দুটোই বাড়াতে সক্ষম।


      উপসংহার; কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

      কিসমিস হলো ছোট একটি ফল, তবে স্বাদে অনেক মিষ্টি। যেহেতু আঙ্গুরে থাকে অনেক ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই এটি শুকিয়ে যাওয়ার পরও ভিটামিন থাকে। সুতরাং প্রতিদিন যদি কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা পেতে চান তাহলে খাদ্যতালিকায় কিসমিস রাখার চেষ্টা করুন। তাতে আপনি পেতে পারেন অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।

      এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

      পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
      এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
      মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

      ✨ Drifture-এ মন্তব্য করার সময় দয়া করে আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

      comment url