আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ | ও হিজরি সনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
Drifture
৩১ জুল, ২০২৫
আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ সম্পর্কে জানার আগে জানতে হবে যে কেন আমরা আরবি মাস পালন
করবো ? এর অনেক কারণ রয়েছে, তার মধ্যে ছোট্ট একটি কারণ হল, ইসলামটা হলো “দিন উল
ফিতরাহ” মানে প্রকৃতিগত দিন। আরবি মাস
এখানে আর্টিফিশিয়াল কোন কিছু নেই এবং আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা এখানে সব কিছুই
মানুষের নিড বা প্রয়োজন মতো দিয়েছেন। যেগুলো বুঝতে আমাদের সময় লাগে। ধরুন
সৌরবর্ষের আলোকে যদি এবাদত বন্দিকে করা লাগতো, তাহলে
হিজরি সন এটা কি কোনো এরাবিয়ান সন ? অনেকে ভাবছেন যে এটা এরাবিন সন কিন্তু তা
নই। বরং হিজরি সন হলো গোটা মুসলিম উম্মাহের। .মানে হলো শুধু যে এরাবিনরাই
এটা মানবে আর আমাদের প্রয়োজন নেই। এমন কিছু না। এটা গোটা মুসলিম উম্মাহের
জন্য আবশ্যক। আর এটা এরাবিয়ান সন না। কারণ দেখেন আমরা এই সনগুলোকে বলতে ভুল
করি। আমরা বলি ইংরেজি সন, অথচ ইংরেজি সন বলতে কিছুই নাই। আমিও বলতে মাঝে
মাঝে ইংরেজি সন বলে ফেলি। আমরাও তো এটাই বলি তাই না। আসলে কি এটা ইংরেজি সন ?
আমরা যেটাকে ইংরেজি সন বলি এটার সাথে ইংরেজির কি কোনো সম্পর্ক আছে ? ইংরেজির কী
সম্পর্ক আছে? কোনও সম্পর্ক নেই। এর সাথে ইংরেজির কোনও সম্পর্ক নেই।
তাহলে এটা কি? এটা মূলত খ্রিস্টাব্দ। এটা খ্রিস্টাব্দ বা ঈসায়ী সন মানে
খ্রিস্টানদের সন ইসা আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মের সাথে সংশ্লিষ্ট সন। তাই এটাকে
আমরা ঈসায়ী সন বলে থাকি যেটা ইংরেজি সন। আর যেটা হিজরি সন এটাকে আমরা অনেকে মনে
করি এটা এরাবিয়ান সন কিন্তু এটা আরাবিন সন না। এটা আরব জাতীয়তাবাদের কোন
বিষয় না। এটা আরবদের কোন সম্পদ না। এই সনটা মুসলমানদের, এটা ইসলামিক সন বলতে
পারেন। আপনাদের কিন্তু এটাকে এরাবিয়ান সন বলার কোন সুযোগ নাই। কারণ এরাবিয়ান
দের আলাদা সন আছে। তাদের একটা জাতীয় সন আছে। আমাদের যেরকম একটা বাংলা সন আছে।
এই বাংলা সনটাও হিজরি সনেরই ভিন্ন একটা ফরম্যাট এই বাংলা সন গড়ার ইতিহাস তো
সবারই জানা আছে। এই সনটা সৌরবর্ষ হিসেবে করা হয়েছে না চন্দ্রবর্ষ হিসাবে। মূলত
খাজনা তুলতে অসুবিধা হত দেখেই প্রবর্তন হয়। যাই হোক সেটা বাংলার নববর্ষের কথা।
যখন আমি বাংলার নববর্ষের কথা বলবো তখন আমি বাংলার নববর্ষ নিয়ে কথা বলব।
বাকি এটুকু কথা তো আমাদের জানা থাকার কথা যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সালামের হিজরতকে কেন্দ্র করে যে সন শুরু হয়েছে সেটা হল হিজরি সন। তো ওনার
হিজরত এটা কি এরাবিয়ানদের ইস্যু না মুসলমানদের ইস্যু। অবশ্যই এটা মুসলমানদের
ইস্যু। তাহলে সনটা এরাবিয়ান সন না, এটা হল ইসলামিক সন। আপনি একজন মুসলমান এই
সনের কোন মাস কখন আসছে আবার কখন যাচ্ছে এগুলো আমাদের জানতে হবে। আজকাল আমাদের
বাচ্চাদেরকে তো আমরা এগুলো কখনও শিখাই না যে আজ হিজরি সনের কত তারিখ। আর যদি
হিজরি সনের নাম শিখায়, তাহলে হিজরি সনের নামগুলো বলি না। বরং আমরা আমাদের
সন্তানদেরকে হিজরি সনকে আমি ১২ মাসের নাম বলে শিখাই। অথচ তাদের শিখাতে হতো
যে হিজরী সনের নামগুলো বলো।
আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ আমরা যেটাকে আরবি ১২ মাসের নাম বলে চিনি সেটা মূলত হিজরী সন, আর হিজরী সন শুধু
আরবদের জন্য না এটা গোটা মুসলিমদের জন্য। এটা ইসলামের সন ১৭ হিজরি তে ওমরের
শাসন আমলে এই সনের গণনা শুরু হয়। প্রত্যেকটা সনের তো একটা গোড়া থাকে, তো এই
সনের গোড়াটা কি হবে কোথা থেকে শুরু হবে আর সন গণনা, ওমরের আদালতে রাষ্ট্রীয়
ফরমান, যেহেতু তিনি রাষ্ট্র প্রধান। তিনি চিঠি লিখে বিভিন্ন গভর্নর দের কাছে
পাঠাতেন। তখন মুসলমানদের সাম্রাজ্য এত বড় ছিল এক এলাকা থেকে অন্য এলাকা
যেতে অনেক সময় লাগতো কখনো এক মাস পাঁচ মাস এমনকি ৬ মাসও লেগে যেত। সেই মদিনা
থেকে সেই তুরস্ক থেকে সেই মিশর থেকে আরও অনেক দুর দুরান্ত থেকে আরও যে
এলাকাগুলো আছে, সেগুলোতে চিঠি পৌঁছাইতে মাসকে মাস লেগে যেত। আর চিঠিতে শুধু
তারিখ এবং মাস লিখা থাকতো। যার কাছে লেখা হতো যার কাছে চিঠি পাঠানো হতো, উনি
অনেক সময় বিব্রত হয়ে যেতেন বা বিভ্রান্ত হয়ে যেতেন কোন মাস তো বুঝলাম,
কিন্তু এটা এই বছরের মাস না আগের বছরের মাস তা বুঝা যেত না। সাত মাস আট
মাস লেগে যেতো সময়ে। তাতে বছর হেরফের হয়ে যেতে পারে।
তাহলে মাসটা কোন বছরের মাস হেরফের হয়ে যেতো। তখন ওনার কাছে বিভিন্ন
দায়িত্বশীলগণ বললেন যে, এটা নিয়ে আমাদের বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। এজন্য
আপনারা সন আবিষ্কার করেন যে সনটাও সাথে উল্লেখ থাকবে। তখন আমরা বুঝতে পারবো যে
এটা কোন সনের কোন মাস। তখন উনি পরামর্শের জন্য অন্য সাহাবীদের
ডাকলেন এই সন নিয়ে যে সমস্যা শুরু হয়েছে সে বিষয়ে কিছু আলোচনা করার
জন্য। সবাই মতামত দিলেন কি করা যায়, কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা সন গণনা
শুরু করবো। অনেকে বলেছে যে খ্রিস্টানরা যেহেতু ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
জন্মের সময় বা জন্মের দিনটাকে এক ধরে খ্রিস্টাব্দ সন শুরু হয়েছিলো। তারা
যেহেতু ঈসায়ী সন গণনা শুরু করেছে ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্মের সময় বা
জন্মের দিনটাকে কেন্দ্র করে। যেটাকে আমরা ইংরেজী সন বলে থাকি। এটা
খ্রিস্টানদের সন। আর আমরাও আমাদের নবী ও রসূল হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মের সময় বা জন্মের দিনটাকে কেন্দ্র করে তকে এক
ধরে আমরা গণনা শুরু করতে পারি।
কিন্তু ওমর (রাঃ)-এর কাছে বিষয়টা পছন্দ হলো না। আমরা ওদের (অর্থাৎ
খ্রিস্টানদের) অনুসরণ কেন করতে যাব। আরো কেউ কেউ বলছে যে উনি যেদিন
নবী হয়েছেন প্রথম ওই দিনটাকে ওই বছরটাকে এক ধরে এখান থেকে গণনা করা শুরু করি
এরকম আরও অনেক প্রস্তাব আসলো। এর মধ্যে একজন প্রস্তাব দিলো যে হিজরতের ঘটনাকে
যে বছর হিজরত হয়েছে ওই বছরকে এক ধরে আমরা গণনা শুরু করতে পারি, এটা সবাই
সিনিয়র সাহাবীগণ সবাই খুব পছন্দ করলেন। সবাই বললেন হ্যাঁ, কারণ হিজরত হলো সত্য
এবং বাতিলের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করে দিয়েছে। আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ যারা হিজরত করে আসছে তারা
পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি স্যাক্রিফাইস করেছেন। সাহাবীদের সর্বোচ্চ মর্যাদা
আসীন হয়েছেন। তো এখান থেকে আমাদের সন গণনা শুরু হবে। তখন ওখ্ন থেকে সন গণনা
শুরু হয়েছে। এটা হলো হিজরতের ঘটনার ১৭ বছর পরে এসে শুরু হয়। সেই থেকে গুনতে
গুনতে আজ ১৪৪৭ হিজরি সন। সন শুরু হলো এই ১৪৪৭ বছর আগের সেই ঘটনাকে ১৭ বছর পরে
এসে গনা শুরু করেছেন। আজও পর্যন্ত সেটা আমাদের। এজন্য হিজরির সময় হিসাব
সংরক্ষণ করা আমাদের জন্য ফরজে কিফায়া।
এক নজরে ১৪৪৭ হিজরি সনের আরবি বারো মাস
রজব - শাবান ১৪৪৭ -- জানুয়ারি ২০২৬
শাবান - রমযান ১৪৪৭ -- ফেব্রুয়ারি ২০২৬
রমযান - শাওয়াল ১৪৪৭ -- মার্চ ২০২৬
শাওয়াল - যুল-কা'দাহ (জিলক্বদ) ১৪৪৭ -- এপ্রিল ২০২৬
যুল-কা'দাহ (জিলক্বদ) - যুল-হিজ্জাহ (জিলহজ) ১৪৪৭ -- মে ২০২৬
যুল-হিজ্জাহ (জিলহজ) - মহাররম ১৪৪৭ - ১৪৪৮ -- জুন ২০২৬
মহাররম - সফর ১৪৪৮ -- জুলাই ২০২৬
সফর - রবিউল আউয়াল ১৪৪৮ -- আগস্ট ২০২৬
রবিউল আউয়াল - রবিউস সানি ১৪৪৮ -- সেপ্টেম্বর ২০২৬
রবিউস সানি - জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৮ -- অক্টোবর ২০২৬
জমাদিউল আউয়াল - জমাদিউল আখিরাহ ১৪৪৮ -- নভেম্বর ২০২৬
জমাদিউল আখিরাহ - রজব ১৪৪৮ -- ডিসেম্বর ২০২৬
এক নজরে আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ১৪৪৭ হিজরি সন
জানুয়ারি ২০২৬ (রজব - শাবান ১৪৪৭)
স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যে মাসকে মর্যাদাবান ঘোষণা করেছেন সেই
মাসটা হলো রজব মাস। যেই মাসটি আমাদের কাছে মর্যাদা পাওয়ার উপযুক্ত। কোন সন্দেহ নাই যে আল্লাহ
কুরআনে যে মাসকে মর্যাদাবান বলা হয়েছে। সেই মাসের প্রতি মর্যাদা প্রকাশ
করা আমাদের কর্তব্য। কারণ সম্মানিত যে মাসগুলো আছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো রজব মাস। আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা তো এমনি সম্মানিত মাস হিসেবে বলেননি। নিশ্চয়ই এই মাসে ইবাদতের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।
রজব মাসে যে কাজগুলো আছে ভালো কাজ গুলো আছে সেগুলো এ মাসে আরও যত্ন সহকারে করতে হবে কেন সম্মানিত মাস যাচ্ছে আপনি কুরআন তেলাওয়াত প্রতিদিন করেন রজত মাস এটা চিন্তা করে কোনওদিন একটু অলসতা মল লাগলে মনে মনে নিজেকে বলতে হবে যে না সম্মানিত মাস যাচ্ছে। অতএব আমাকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে।তাহলে রজব মাসে কী করব?
সারা বছর গুনাহের কাজ করা খারাপ কিন্তু সম্মানিত মাস আসার পর যদি কেউ গুনাহের কাজ করে তাহলে সেটা ডাবল খারাপ কাজ। তাহলে আমরা যে যে গুনাহে লিপ্ত থাকি যেমন কেউ যদি ফেইসবুক এ হারাম জিনিস দেখেন। অথবা কেউ যতি বিড়ি সিগারেট খাওয়ার বদ অভ্যাস থাকে। কেউ মুখ দিয়া গীবত সেকাত করা গালিগালাজ করার মতো খারাপ অভ্যাস থাকে। তাহলে আমাদের পরিহার করতে হবে। যে যেই গুনাহে লিপ্ত এই সম্মানিত মাসগুলোকে পরিহার করার চেষ্টা করব। গোনাগুলো থেকে বেঁচে থাকার জন্য বিশেষ যত্ন নেব। আল্লাহ তা আমাদের সবাইকে আমলের তৌফিক দান করুন
ইংরেজি তারিখ
বার
আরবি তারিখ
০১
বৃহস্পতিবার
১২ (রজব)
০২
শুক্রবার
১৩
০৩
শনিবার
১৪
০৪
রবিবার
১৫
০৫
সোমবার
১৬
০৬
মঙ্গলবার
১৭
০৭
বূধবার
১৮
০৮
বৃহস্পতিবার
১৯
০৯
শুক্রবার
২০
১০
শনিবার
২১
১১
রবিবার
২২
১২
সোমবার
২৩
১৩
মঙ্গলবার
২৪
১৪
বূধবার
২৫
১৫
বৃহস্পতিবার
২৬
১৬
শুক্রবার
২৭
১৭
শনিবার
২৮
১৮
রবিবার
২৯
১৯
সোমবার
৩০
২০
মঙ্গলবার
০১ (শাবান)
২১
বূধবার
০২
২২
বৃহস্পতিবার
০৩
২৩
শুক্রবার
০৪
২৪
শনিবার
০৫
২৫
রবিবার
০৬
২৬
সোমবার
০৭
২৭
মঙ্গলবার
০৮
২৮
বূধবার
০৯
২৯
বৃহস্পতিবার
১০
৩০
শুক্রবার
১১
৩১
শনিবার
১২
ফেব্রুয়ারি ২০২৬ (শাবান - রমযান ১৪৪৭)
ইংরেজি তারিখ
বার
আরবি তারিখ
০১
রবিবার
১৩ (সাবান)
০২
সোমবার
১৪
০৩
মঙ্গলবার
১৫
০৪
বূধবার
১৬
০৫
বৃহস্পতিবার
১৭
০৬
শুক্রবার
১৮
০৭
শনিবার
১৯
০৮
রবিবার
২০
০৯
সোমবার
২১
১০
মঙ্গলবার
২২
১১
বূধবার
২৩
১২
বৃহস্পতিবার
২৪
১৩
শুক্রবার
২৫
১৪
শনিবার
২৬
১৫
রবিবার
২৭
১৬
সোমবার
২৮
১৭
মঙ্গলবার
২৯
১৮
বূধবার
৩০
১৯
বৃহস্পতিবার
০১ (রমযান)
২০
শুক্রবার
০২
২১
শনিবার
০৩
২২
রবিবার
০৪
২৩
সোমবার
০৫
২৪
মঙ্গলবার
০৬
২৫
বূধবার
০৭
২৬
বৃহস্পতিবার
০৮
২৭
শুক্রবার
০৯
২৮
শনিবার
১০
মার্চ ২০২৬ (রমযান - শাওয়াল ১৪৪৭)
ইংরেজি তারিখ
বার
আরবি তারিখ
০১
রবিবার
১১ (রমযান)
০২
সোমবার
১২
০৩
মঙ্গলবার
১৩
০৪
বূধবার
১৪
০৫
বৃহস্পতিবার
১৫
০৬
শুক্রবার
১৬
০৭
শনিবার
১৭
০৮
রবিবার
১৮
০৯
সোমবার
১৯
১০
মঙ্গলবার
২০
১১
বূধবার
২১
১২
বৃহস্পতিবার
২২
১৩
শুক্রবার
২৩
১৪
শনিবার
২৪
১৫
রবিবার
২৫
১৬
সোমবার
২৬
১৭
মঙ্গলবার
২৭
১৮
বূধবার
২৮
১৯
বৃহস্পতিবার
২৯
২০
শুক্রবার
০১ (শাওয়াল)
২১
শনিবার
০২
২২
রবিবার
০৩
২৩
সোমবার
০৪
২৪
মঙ্গলবার
০৫
২৫
বূধবার
০৬
২৬
বৃহস্পতিবার
০৭
২৭
শুক্রবার
০৮
২৮
শনিবার
০৯
২৯
রবিবার
১০
৩০
সোমবার
১১
৩১
মঙ্গলবার
১২
এপ্রিল ২০২৬ (শাওয়াল - যুল-কা'দাহ (জিলক্বদ) ১৪৪৭)
ইংরেজি তারিখ
বার
আরবি তারিখ
০১
বূধবার
১৩ (শাওয়াল)
০২
বৃহস্পতিবার
১৪
০৩
শুক্রবার
১৫
০৪
শনিবার
১৬
০৫
রবিবার
১৭
০৬
সোমবার
১৮
০৭
মঙ্গলবার
১৯
০৮
বূধবার
২০
০৯
বৃহস্পতিবার
২১
১০
শুক্রবার
২২
১১
শনিবার
২৩
১২
রবিবার
২৪
১৩
সোমবার
২৫
১৪
মঙ্গলবার
২৬
১৫
বূধবার
২৭
১৬
বৃহস্পতিবার
২৮
১৭
শুক্রবার
২৯
১৮
শনিবার
০১ (যুল-কা'দাহ)
১৯
রবিবার
০২
২০
সোমবার
০৩
২১
মঙ্গলবার
০৪
২২
বূধবার
০৫
২৩
বৃহস্পতিবার
০৬
২৪
শুক্রবার
০৭
২৫
শনিবার
০৮
২৬
রবিবার
০৯
২৭
সোমবার
১০
২৮
মঙ্গলবার
১১
২৯
বূধবার
১২
৩০
বৃহস্পতিবার
১৩
মে ২০২৬ (যুল-কা'দাহ (জিলক্বদ) - যুল-হিজ্জাহ (জিলহজ) ১৪৪৭)
ইংরেজি তারিখ
বার
আরবি তারিখ
০১
শুক্রবার
১৪ (যুল-কা'দাহ)
০২
শনিবার
১৫
০৩
রবিবার
১৬
০৪
সোমবার
১৭
০৫
মঙ্গলবার
১৮
০৬
বূধবার
১৯
০৭
বৃহস্পতিবার
২০
০৮
শুক্রবার
২১
০৯
শনিবার
২২
১০
রবিবার
২৩
১১
সোমবার
২৪
১২
মঙ্গলবার
২৫
১৩
বূধবার
২৬
১৪
বৃহস্পতিবার
২৭
১৫
শুক্রবার
২৮
১৬
শনিবার
২৯
১৭
রবিবার
৩০
১৮
সোমবার
০১ (যুল-হিজ্জাহ)
১৯
মঙ্গলবার
০২
২০
বূধবার
০৩
২১
বৃহস্পতিবার
০৪
২২
শুক্রবার
০৫
২৩
শনিবার
০৬
২৪
রবিবার
০৭
২৫
সোমবার
০৮
২৬
মঙ্গলবার
০৯
২৭
বূধবার
১০
২৮
বৃহস্পতিবার
১১
২৯
শুক্রবার
১২
৩০
শনিবার
১৩
৩১
রবিবার
১৪
জুন ২০২৬ (যুল-হিজ্জাহ (জিলহজ) - মুহাররম ১৪৪৭ - ১৪৪৮)
এখন চলছে আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ মুহাররম মাসের অন্তত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হলো মুহাররম
মাসের আশুরার দিন। এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ একটি
দিন। সেটার নাম আশুরার দিন। আশুরা হল ১০-এ মুহাররম। যেই
আশুরার দিন গত মাসেই অতিবাহিত হয়ে গেছে। এই আশুরার দিনটির
কারণেও মুহাররমের বিশেষ মর্যাদা এবং তাৎপর্য আছে। আসলে
আশুরার তাৎপর্য কি এ বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করছি
আপাতত এটা জানবো যে আশুরার ১০ এবং ১১ তারিখে আমাদেররোজা
রাখতে হবে অথবা ০৯ এবং ১০ তারিখে রোজা রাখলেও চলবে।
তাই আমরা চেষ্টা করব ০৯ এবং ১০ অথবা ১০ এবং ১১ তারিখে রোজা
রাখতে।
ইংরেজি তারিখ
বার
আরবি তারিখ
০১
সোমবার
১৫ (যুল-হিজ্জাহ)
০২
মঙ্গলবার
১৬
০৩
বূধবার
১৭
০৪
বৃহস্পতিবার
১৮
০৫
শুক্রবার
১৯
০৬
শনিবার
২০
০৭
রবিবার
২১
০৮
সোমবার
২২
০৯
মঙ্গলবার
২৩
১০
বূধবার
২৪
১১
বৃহস্পতিবার
২৫
১২
শুক্রবার
২৬
১৩
শনিবার
২৭
১৪
রবিবার
২৮
১৫
সোমবার
২৯
১৬
মঙ্গলবার
০১ (মুহাররম)
১৭
বূধবার
০২
১৮
বৃহস্পতিবার
০৩
১৯
শুক্রবার
০৪
২০
শনিবার
০৫
২১
রবিবার
০৬
২২
সোমবার
০৭
২৩
মঙ্গলবার
০৮
২৪
বূধবার
০৯
২৫
বৃহস্পতিবার
১০
২৬
শুক্রবার
১১
২৭
শনিবার
১২
২৮
রবিবার
১৩
২৯
সোমবার
১৪
৩০
মঙ্গলবার
১৫
জুলাই ২০২৬ (মুহাররম - সফর ১৪৪৮)
মুহাররম শব্দের অর্থ হলো সম্মানিত। মুহাররম মানে কি
সম্মানিত? এর মানে হল এই মাসটা সম্মানিত মাস। সম্মানিত মাস
মূলত চারটাঃ
মুহাররম
রজব
যুল-কা'দাহ (জিলক্বদ)
যুল-হিজ্জাহ (জিলহজ)
এর মধ্যে ধারাবাহিকতায় তিনটা শেষ হয়ে এবার মুহাররম। আর এটা
সম্মানিত মাসগুলোর মধ্যে আবার সবচেয়ে সম্মানিত। যেটা শেষ
হয়ে গেছে। অর্থাৎ আপনি আরও সংক্ষেপে বলতে পারেন রমদানের
পরে মাস হিসাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুসলমানের কাছে এই
মাসটা। তো এই মাসে করনীয় কি এবং বর্জনীয় কি ? এই মাসে
বিশেষ করণীয় হলো যে, এটা যে একটা সম্মানিত মাস। এই মাসকে
সম্মানিত করা হয়েছে, এই উপলব্ধিটা নিজের মধ্যে জাগ্রত
করা।
মাঝেমধ্যে মনে ওঠা অন্তত এট লিস্ট যে মুহাররম
মাস যাচ্ছে, রুটিন আমলগুলোকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে
করা হারামগুলো থেকে বেঁচে থাকার জন্য বিশেষ চেষ্টা
অব্যাহত রাখা। আর আমাদের যেন সম্মানিত মাসের প্রতি
অবিচার না করা হয়।
এখন চলছে আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ আরেকটা স্পেশাল কাজ আছে। সেই আমল টা হলো রমাদানের পরে বা
রমজানের রোজার পরে সবচেয়ে উত্তম রোজা হল এই মুহাররম
মাসের রোজা।এজন্য এ মাসে নফল রোজা রাখার জন্য খুব বেশি
সচেষ্ট থাকতে হয়।
আমরা বলতে পারি নফল রোজার জন্য শ্রেষ্ঠ মাস হলো মুহাররম
মাস। যেটি শেষ হয়ে গেছে। গরমের দিন এখন অনেক বড়। রাতটা
একটু ছোট এই বড়দিনের রোজা রাখতে একটু কষ্ট হয়। আবার
গরমের তীব্রতা তো আছেই এই কষ্টের সময়ও আপনি অন্তত
রোজা রাখার চেষ্টা করেন।
যেহেতু দিনে রোজা রাখেন, তাই রাতে একটু বেশি কাজটাজ করে,
দিনে ঘুমিয়ে শুয়ে কাটান, তাতে রোজা রাখার
কষ্টটা কম অনুভব হবে। কিন্তু আপনি রাখেন। বোঝা মনে
হলেও রাখেন। যেহেতু এই মাসকে নফল রোযার জন্য সবচেয়ে
শ্রেষ্ঠ মাস হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই আমরা রোজা
রাখার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। যাদেরকে আল্লাহ তাওফিক
দিয়েছেন। এই মহান মাস উপলক্ষে আমরা একটু রোজা রাখব।
তাহলে মুহাররম মাসের প্রধান এবং বিশেষ বৈশিষ্ট হলো এটা
একটা নফল রোজার মাস। অতএব আমরা নফল
রোজা রাখার চেষ্টা করব। আল্লাহ আমাদেরকে সে তফিক দান
করুন।
ইংরেজি তারিখ
বার
আরবি তারিখ
০১
বূধবার
১৬ (মহাররম)
০২
বৃহস্পতিবার
১৭
০৩
শুক্রবার
১৮
০৪
শনিবার
১৯
০৫
রবিবার
২০
০৬
সোমবার
২১
০৭
মঙ্গলবার
২২
০৮
বূধবার
২৩
০৯
বৃহস্পতিবার
২৪
১০
শুক্রবার
২৫
১১
শনিবার
২৬
১২
রবিবার
২৭
১৩
সোমবার
২৮
১৪
মঙ্গলবার
২৯
১৫
বূধবার
৩০
১৬
বৃহস্পতিবার
০১ (সফর)
১৭
শুক্রবার
০২
১৮
শনিবার
০৩
১৯
রবিবার
০৪
২০
সোমবার
০৫
২১
মঙ্গলবার
০৬
২২
বূধবার
০৭
২৩
বৃহস্পতিবার
০৮
২৪
শুক্রবার
০৯
২৫
শনিবার
১০
২৬
রবিবার
১১
২৭
সোমবার
১২
২৮
মঙ্গলবার
১৩
২৯
বূধবার
১৪
৩০
বৃহস্পতিবার
১৫
৩১
শুক্রবার
১৬
আগস্ট ২০২৬ (সফর - রবিউল আউয়াল ১৪৪৮)
ইংরেজি তারিখ
বার
আরবি তারিখ
০১
শনিবার
১৭ (সফর)
০২
রবিবার
১৮
০৩
সোমবার
১৯
০৪
মঙ্গলবার
২০
০৫
বূধবার
২১
০৬
বৃহস্পতিবার
২২
০৭
শুক্রবার
২৩
০৮
শনিবার
২৪
০৯
রবিবার
২৫
১০
সোমবার
২৬
১১
মঙ্গলবার
২৭
১২
বূধবার
২৮
১৩
বৃহস্পতিবার
২৯
১৪
শুক্রবার
০১ (রবিউল আউয়াল)
১৫
শনিবার
০২
১৬
রবিবার
০৩
১৭
সোমবার
০৪
১৮
মঙ্গলবার
০৫
১৯
বূধবার
০৬
২০
বৃহস্পতিবার
০৭
২১
শুক্রবার
০৮
২২
শনিবার
০৯
২৩
রবিবার
১০
২৪
সোমবার
১১
২৫
মঙ্গলবার
১২
২৬
বূধবার
১৩
২৭
বৃহস্পতিবার
১৪
২৮
শুক্রবার
১৫
২৯
শনিবার
১৬
৩০
রবিবার
১৭
৩১
সোমবার
১৮
সেপ্টেম্বর ২০২৬ (রবিউল আউয়াল - রবিউস সানি ১৪৪৮)
ইংরেজি তারিখ
বার
আরবি তারিখ
০১
মঙ্গলবার
১৯ (রবিউল আউয়াল)
০২
বূধবার
২০
০৩
বৃহস্পতিবার
২১
০৪
শুক্রবার
২২
০৫
শনিবার
২৩
০৬
রবিবার
২৪
০৭
সোমবার
২৫
০৮
মঙ্গলবার
২৬
০৯
বূধবার
২৭
১০
বৃহস্পতিবার
২৮
১১
শুক্রবার
২৯
১২
শনিবার
০১ (রবিউস সানি)
১৩
রবিবার
০২
১৪
সোমবার
০৩
১৫
মঙ্গলবার
০৪
১৬
বূধবার
০৫
১৭
বৃহস্পতিবার
০৬
১৮
শুক্রবার
০৭
১৯
শনিবার
০৮
২০
রবিবার
০৯
২১
সোমবার
১০
২২
মঙ্গলবার
১১
২৩
বূধবার
১২
২৪
বৃহস্পতিবার
১৩
২৫
শুক্রবার
১৪
২৬
শনিবার
১৫
২৭
রবিবার
১৬
২৮
সোমবার
১৭
২৯
মঙ্গলবার
১৮
৩০
বূধবার
১৯
অক্টোবর ২০২৬ (রবিউস সানি - জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৮)
ইংরেজি তারিখ
বার
আরবি তারিখ
০১
বৃহস্পতিবার
২০ (রবিউস সানি)
০২
শুক্রবার
২১
০৩
শনিবার
২২
০৪
রবিবার
২৩
০৫
সোমবার
২৪
০৬
মঙ্গলবার
২৫
০৭
বূধবার
২৬
০৮
বৃহস্পতিবার
২৭
০৯
শুক্রবার
২৮
১০
শনিবার
২৯
১১
রবিবার
৩০
১২
সোমবার
০১ (জমাদিউল আউয়াল)
১৩
মঙ্গলবার
০২
১৪
বূধবার
০৩
১৫
বৃহস্পতিবার
০৪
১৬
শুক্রবার
০৫
১৭
শনিবার
০৬
১৮
রবিবার
০৭
১৯
সোমবার
০৮
২০
মঙ্গলবার
০৯
২১
বূধবার
১০
২২
বৃহস্পতিবার
১১
২৩
শুক্রবার
১২
২৪
শনিবার
১৩
২৫
রবিবার
১৪
২৬
সোমবার
১৫
২৭
মঙ্গলবার
১৬
২৮
বূধবার
১৭
২৯
বৃহস্পতিবার
১৮
৩০
শুক্রবার
১৯
৩১
শনিবার
২০
নভেম্বর ২০২৬ (জমাদিউল আউয়াল - জমাদিউল আখিরাহ ১৪৪৮)
ইংরেজি তারিখ
বার
আরবি তারিখ
০১
রবিবার
২১ (জমাদিউল আউয়াল)
০২
সোমবার
২২
০৩
মঙ্গলবার
২৩
০৪
বূধবার
২৪
০৫
বৃহস্পতিবার
২৫
০৬
শুক্রবার
২৬
০৭
শনিবার
২৭
০৮
রবিবার
২৮
০৯
সোমবার
২৯
১০
মঙ্গলবার
৩০
১১
বূধবার
০১ (জমাদিউল আখিরাহ)
১২
বৃহস্পতিবার
০২
১৩
শুক্রবার
০৩
১৪
শনিবার
০৪
১৫
রবিবার
০৫
১৬
সোমবার
০৬
১৭
মঙ্গলবার
০৭
১৮
বূধবার
০৮
১৯
বৃহস্পতিবার
০৯
২০
শুক্রবার
১০
২১
শনিবার
১১
২২
রবিবার
১২
২৩
সোমবার
১৩
২৪
মঙ্গলবার
১৪
২৫
বূধবার
১৫
২৬
বৃহস্পতিবার
১৬
২৭
শুক্রবার
১৭
২৮
শনিবার
১৮
২৯
রবিবার
১৯
৩০
সোমবার
২০
ডিসেম্বর ২০২৬ (জমাদিউল আখিরাহ - রজব ১৪৪৮)
ইংরেজি তারিখ
বার
আরবি তারিখ
০১
মঙ্গলবার
২১ (জমাদিউল আখিরাহ)
০২
মঙ্গলবার
২২
০৩
বূধবার
২৩
০৪
বৃহস্পতিবার
২৪
০৫
শুক্রবার
২৫
০৬
শনিবার
২৬
০৭
রবিবার
২৭
০৮
সোমবার
২৮
০৯
মঙ্গলবার
২৯
১০
বূধবার
০১ (রজব)
১১
বৃহস্পতিবার
০২
১২
শুক্রবার
০৩
১৩
শনিবার
০৪
১৪
রবিবার
০৫
১৫
সোমবার
০৬
১৬
মঙ্গলবার
০৭
১৭
বূধবার
০৮
১৮
বৃহস্পতিবার
০৯
১৯
শুক্রবার
১০
২০
শনিবার
১১
২১
রবিবার
১২
২২
সোমবার
১৩
২৩
মঙ্গলবার
১৪
২৪
বূধবার
১৫
২৫
বৃহস্পতিবার
১৬
২৬
শুক্রবার
১৭
২৭
শনিবার
১৮
২৮
রবিবার
১৯
২৯
সোমবার
২০
৩০
বূধবার
২১
৩১
বৃহস্পতিবার
২২
আশুরার তাৎপর্যের মূল কারণ কি?
পূর্বে বলা হয়েছিল যে আশুরার তাৎপর্য
নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে, তাই
আমরা এখন সেই বিষয়ে আলোচনা করব। মুহাররম
মাসের আশুরার দিনটা খুবিই তাৎপর্যপূর্ণ একটি
দিন। কেননা এদিনে মুসা আলাইহি ওয়া সাল্লামকে
ফেরাউনের বিপরীতে আল্লাহ মুক্তি দিয়ে
ছিলেন। আশুরার সময় আসলেই একজন
ঈমানদারের মাথায় চলে আসবে বিজয়ের ঘটনা।
কারণ সেই কারণেই আশুরার এই দিনটি তাৎপর্য
পুর্ণ। কিন্তু একই দিনে নির্মম মর্মান্তিক
বেদনাদায়ক ঘটনাও ঘটেছে।
সেটা কারবালার ঘটনা। মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয়
কলিজার টুকরা হোসাইন (রাঃ) কে নির্মম
ভাবে হত্যা করে ছিলেন, সেখানকার
অত্যাচারী জালেম পাপীষ্ঠরা। তারা তাকে তার
সপরিবারে তাকে হত্যা করেছে। এই ঘটনাও এই
আশুরার দিনে ঘটেছে। তো আশুরা মানে আমরা
সাধারণত কারবালা জানি। যদিও আশুরার ঘটনার
সাথে তাৎপর্যটা কারবালার সাথে নয়। মূল
ঘটনার তাৎপর্যটা মূল তাৎপর্যটা হল কোন
ঘটনার সাথে মুসা আলাইহি ওয়া সাল্লামের
বিজয়ের সাথে।
কেন আপনি হিজরি সনের চাদ দেখবেন
?
এখন চলছে আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ যারা পাচ ওয়াক্ত নামাজ কালাম পড়েন
মুখে দাঁড়িয়ে আছে হালাল হারাম
মেইনটেইন করেন মাহারাম মেইনটেইন করেন,
শরিয়তের নির্দেশ গুলোকে মেনে চলার
চেষ্টা করেন এরকম প্রাক্টিসিং মুসলমান
রাও আজকাল চাদ দেখে না। আমি আপনাদেরকে
আজকে সফর মাসের শুরু উপলক্ষে নতুন
বর্ষ হিজরি সন যদিও শুরু হয়েগেছে,
তারপরও এই হিজরি সন উপলক্ষে আপনাদেরকে
আমি ওদারতো আহব্বার জানাতে চাই। আসুন
আমরা আরবি মাসের চাঁদ দেখবো, যখনি
কোনো আরবি মাস আসবে তখন আমরা অন্তত
বাইরে গিয়ে চাঁদ চাঁদ দেখার চেষ্টা
করব। হিজরি বর্ষের মাসগুলোকে আরবি মাস
বলা যায়। কারণ এই মাসগুলো
এরাবিয়ানদের আগে থেকেই ছিল। কিন্তু
সনটা নতুন করে যোগ করা হয়েছে যেন
মুসলমানদের মাস বুঝতে সুবিধা হয়। যাই
হোক এই মাসগুলো কখন শেষ হয়, কখন শুরু
হয়। আমরা একটু হিসাব রাখার চেষ্টা
করব। আমি প্রায় বলার চেষ্টা করি চাঁদ
দেখার কথা। অন্য মাস তো পরের কথা।
আমরা রমজানের রোজার চাঁদও আমরা দেখি
না। সবাই তাকিয়ে থাকে মোবাইলের দিকে
আকাশের না দেখে।
মোবাইলে আপনি দেখেন কিন্তু আগে আকাশে
দেখার চেষ্টা করেন। মুশকিল হলো ঢাকা
শহরে, এমন এমন জায়গায় আছে যেখানে
চাঁদ দেখা অনেক মুশকিল। কারণ ঢাকা
শহরটাকে এমন ভাবে আমরা গড়ে তুলেছি
যে, আকাশের চাঁদরে খুঁজে পাওয়া যায়
না। যাই হোক এইজন্য আপনি ছাদে উঠে বা
মাঠে গিয়ে চাঁদ দেখার চেষ্টা করেন
এবং কারন আমাদের মাঝে চাঁদ দেখার
আমলটা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
আমরা ইসলামি ফাউন্ডেশন-এর জাতীয় চাঁদ
দেখা কমিটির কয়েকজন মানুষের উপরে
ছেড়ে দিয়ে গোটা জাতি ঘুমাচ্ছি। এটা
উচিত না। অথচ আমাদের উচিত নিজেরা চাঁদ
দেখা। অন্তত রমজান বা দুই ঈদের চাঁদ
দেখা। চাঁদ দেখা কমিটি যখন আমাদের
সংবাদ দেয় তখন আমরা ঈদ পালন করি।
এজন্য আমাদের উচিত সবাই চাঁদ দেখার
চেষ্টা করা।
আপনি কি চাঁদ দেখার চেষ্টা করছেন ?
একদিনও দেখেন নাই। যদি আপনি চাঁদ
দেখার চেষ্টা করেন কিন্তু চাঁদ দেখতে
না পান তাহলেও সমস্যা নেই, সওয়াব আপনি
পাবেন, কারন আপনি চেষ্টা তো করেছেন।
আল্লাহ আমাদেরকে আমলতফিক দান করুন
তাহলে হিজরী সনের গণনা। বিশেষ করে
মাসগুলোর হিসেব রাখাটা আমাদের জন্য
অবশ্যই কর্তব্য। হিজরীসনের যে গণনা
এটা চান্দ্রবর্ষের আলোকে না সৌরবর্ষের
আলোকে। চান্দ্রবর্ষের আলোতে কারণ কি
চান্দ্রবর্ষটা তো পরিবর্তন হয় রমজানে
কখনো শীতে হয় কখনও গরমে হয় কখনও
বর্ষায় হয় ঋতু পরিবর্তন হয় মৌসুম
পরিবর্তন হয় প্রকৃতি পরিবর্তন হয়।
সৌরবর্ষে কী পরিবর্তন হয় না,
পরিবর্তন তো হয়। তাহলে আল্লাহ
সুবহানাহু তাআলা আমাদেরকে সৌরবর্ষের
আলোকে ইবাদত বন্দেগি করতে বলতে
পারতেন। তাহলে বলেন নি কেন ?
কারণ দেখেন ইসলাম চন্দ্রবর্ষের আলোকে
চলে কিন্তু দুনিয়ার সবকিছু চলে সৌর
বর্ষে আলোকে।
উপসংহারঃ আরবি মাসের
ক্যালেন্ডার ২০২৬
ধরুন আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ঈদুল
আজহা দিলেন হলো এমন মাসে যে তখন
শীত থাকে। যেমনঃ ফেব্রুয়ারি
মাসে। তো এখন কোন সময় দিলেন। তখন
তো ঠিক ভাবে ঈদুল আজহা উয্যাপন
করা যেত না। তাই তিনি চন্দ্রবর্ষে
আমাদেরকে ইবাদত করতে বলেছেন যাতে
করে পৃথিবীর সব দেশের মানুষ সারা
বছর জুড়ে আল্লাহর সব প্রকৃতিতে
আমরা ইবাদত করতে পারি। সব মৌসুম
যেন আমরা ইবাদত করতে পারি। কখনও
গরমের সময় রোজা রাখব, কখনো শীতের
সময় রোজা রাখব, কখনো বর্ষাকালে
রোজা রাখব।
কখনও ঈদ বৃষ্টিতে করব, কখনও ইদ
শুকনাই করব। সারা বছর জুড়ে সব
মৌসুমে যাতে আল্লাহর ইবাদত করতে
পারি আমরা এই সুযোগ করে দেওয়ার
জন্যই এই চন্দবর্ষের আগমন। এজন্য
চন্দ্রবর্ষের হিসাব রাখা বা হিজরি
সনের হিসাব রাখা এটা ফরজে কেফায়া
সমাজের কেউ মনে না রাখলে সবাই
গুণাগার হবো। তাই আমাদেরকে
আরবি মাসের ক্যালেন্ডার সবসময়
খেয়াল রাখার চেষ্টা কতে হবে।
✨ Drifture-এ মন্তব্য করার সময় দয়া করে আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url